চীনাবাদামের সঠিক কাটা মৌসুম আয় ও গুণমান বাড়ানোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখে:
প্রথমত, সময় মতো কাটা। কারণ চীনাবাদাম হল মাটিতে ফুল ফোটানো ও কাণ্ডের নিচে গজানো ফসল, বাইরের থেকে কঙ্কনী পূর্ণ ও পাকা কিনা দেখা কঠিন। একই সঙ্গে চীনাবাদাম ধারাবাহিকভাবে ফুলে এবং কঙ্কনী গঠনে থাকে, তাই কঙ্কনীর পাকা অবস্থাও অসম্মত। অত্যন্ত আগেই বা দেরিতে কাটলে ফলন ও গুণমান প্রভাবিত হয়। তাই চীনাবাদামের উপযুক্ত কাটা সময় নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, চীনাবাদামের উপযুক্ত কাটা সময় নিচের তিনটি দিক থেকে দেখা যায়।
1. বৃদ্ধি সময় দেখা। একটি সাধারণ চীনাবাদাম জাতের বৃদ্ধি সময় প্রায় ১২৫ দিন।
2. তাপমাত্রা দেখা। যদি দিনের ও রাত্রির গড় তাপমাত্রা ১২ °C এর নিচে থাকে, চীনাবাদাম বৃদ্ধি বন্ধ করে এবং কাটা যায়।
3. গাছ দেখা। সাধারণত, চীনাবাদাম শেষ পর্যায়ে পৌঁছালে উদ্ভিদের অধিকাংশ পুষ্টি কঙ্কনিতে পরিবাহিত হয়ে যায়। উদ্ভিদগুলি প্রবীণ হয়ে যায়, শীর্ষ বৃদ্ধি বন্ধ হয়, উপরের পাতা হলদে হয়ে যায় এবং নীচের ও মধ্যবর্তী পাতা ঝরে পড়ে। এই সময়ে অধিকাংশ কঙ্কনী বীজ যদি ভরা থাকে, কাটা যায়।
দ্বিতীয়ত, সংরক্ষণের কৌশল। বীজ বাছাই করার সময় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে: সেই জাতের বৈশিষ্ট্যযুক্ত কঙ্কনী নির্বাচন করুন, একই সময়ে পাকা, ডালপালা সুষ্পষ্ট এবং ফলন ঘন ও ভরা। নিম্নলিখিত লক্ষণযুক্ত গাছগুলো বীজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না:
1. দেরিতে পাকা হওয়া গাছ। এই গাছটি প্রারম্ভে দুর্বল বিকশিত হয়েছিল, এবং পরে ধীর বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই গাছটি কেবল দেরিতে ফল দেয় না, ফলনও কম এবং ভরাটতা দুর্বল।
2. আগেই দুর্বল হয়ে যাওয়া গাছ। চীনাবাদামের কঙ্কনী এখনও পাকা নয়, কিন্তু ভূমির ওপরের অংশ আগেভাগেই হলকায় পড়ছে, এবং কোরে জৈব পদার্থ সঞ্চয় পর্যাপ্ত নয়। বপনের অনুপাত বেশি নয়, কিন্তু জাতের বৈশিষ্ট্য রক্ষা হয় না এবং জাত বছরের পর বছর অবনতি ঘটে, যা সরাসরি ফলনকে প্রভাবিত করে।
3. রোগাক্রান্ত গাছ। ব্লাইট, পাতা দাগ, এবং ফুলের মরিচা রোগযুক্ত গাছের কঙ্কনিকে বীজ হিসেবে ব্যবহার করলে কেবল রোগ ছড়ায় না, বরং অধিকাংশ কঙ্কনী ও বীজও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।